চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। তীব্র তাপদাহের কারণে গরমে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। তীব্র তাপদাহের কারণে গরমে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি।
এই তীব্র গরমের জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান গণবিরোধী ডামি সরকার। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল বিল দিয়ে ভরা কিন্তু সেই নদী খাল বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার নদী, বন ও গাছপালা রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। চট্টগ্রামের মানুষ তীব্র গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে। এইজন্য দেশের জনগণ চায় এই সরকারের বিদায়। এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে।
তিনি শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর গোল পাহাড় মোড়ে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত পথচারী ও রিকশাচালকদের মাঝে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদলের পক্ষ থেকে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এই গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন চৌধুরী বাসু, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রাশেদ, মহানগর যুবদলের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দীন, যুবদল নেতা মানিক সরকার, আনিসুর রহমান, মো. সজিব, মো. ইফতি, জুয়েল রানা, হানিফ সরকার, নাহিদুর রহমান হিরা, বেলাল উদ্দিন প্রমূখ।