দুদিনের টানা বৃষ্টিতে যশোর শিক্ষা বোর্ড অফিসসহ প্রতিষ্ঠানটির কোয়ার্টার চত্বরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পানির মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হওয়ায় বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অফিসে সেবা নিতে আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন।
বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, পলিটেকনিকের পূর্ব পাশের ড্রেন দিয়ে বোর্ড অফিসের পানি বের হয়। পশ্চিম পাশের ড্রেন দিয়ে অফিস কোয়াটারের পানি বের হয়। কিন্তু পলিটেকনিক কলেজের পূর্ব পাশের ড্রেনের ওপর অবৈধ ভাবে দোকানপাট গড়ে তোলায় ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। অফিসের পশ্চিম পাশে ড্রেনের ওপর হোটেলের কারণেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বের হওয়ার দুই মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দিন ধরে বোর্ড অফিস জলাবদ্ধ রয়েছে।
গত বছর নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পূর্ব পাশের ড্রেন পরিষ্কার করে দিতো। পশ্চিম পাশ দিয়েও তখন পানি বের হওয়ার পথ ছিল। কিন্তু এ বছর ইউনিয়ন পরিষদ ড্রেনটি পরিষ্কার না করায় পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পশ্চিম পাশের পানি বের হওয়ার পথ হোটেল মালিক পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে দুই দিন ধরে বোর্ড অফিস জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এতে বোর্ড অফিস ও অফিস শাখার সোনালী ব্যাংকে আসা মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জলাবদ্ধতার কারণে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ^াস শাহীন আহমেদ ও কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুন্ডু প্রতিষ্ঠানটির কোয়ার্টারে থাকেন। কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুন্ডু জানান, পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে এসে অফিস করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বোর্ডের সচিব প্রফেসর আব্দুর রহিম জানান, পৌরমেয়র না থাকায় পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হয়নি। পৌরসভার কাকে বিষয়টি জানাবো বুঝতে পারিনি। চেয়ারম্যান না থাকায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে জানানো হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি; কীভাবে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ লাগিয়ে মার্কাজ মসজিদের সামনের ড্রেন দিয়ে পানি বের করা যায়।