নারী সমাজকে জাগ্রত করার লক্ষে ১৯৯৭ সালে পদুয়া ইউনিয়নে শিল্পপতি মরহুম এসআই চৌধুরী উক্ত এসআই চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্ঠা লেখাপড়ার মানোন্নয়ন হচ্ছে ক্রমশঃ।
ফলে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতি বছর। বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে আলাপ হয় প্রধান শিক্ষক আবদুল গণি’র সাথে। তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা এসআই চেীধুরীর মৃত্যু হলে বিদ্যালয়ের হাল ধরেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র সিকু গ্রুপের এমডি প্রকৌশলী এ.এম.এম সাইফুল ইসলাম চৌধূরী। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তাঁর অবর্তমানে সার্বক্ষণিক বিদ্যালয়ের দেখা-শুনা করে যাচ্ছেন তাঁরই স্বজন ও বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী রিয়াদ-উর-রেজা। যে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল খুবই সন্তোষজনক হয়ে আসছে।
বিশেষ করে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এবার ৬ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ শতভাগ পাশ করে সন্তোষজনক ফলাফল করেছে একমাত্র উক্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এবার বিদ্যালয়ের ৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই পাশ করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়া ও পরিবেশের মানোন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরিচালনা কমিটি খুবই সজাগ। যে কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশে খুবই প্রশংসনীয়। তবে, ভবন ও আসবাপত্রের অভাব রয়েছে। এ’ব্যাপারে তিনি সরকারের শুভদৃষ্টি কামনা করেছেন।