বরগুনার তালতলীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পায়রা নদীতে মা ইলিশ ধরায় ৭ জেলেকে অর্থদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার করে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার(১৩ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত। এর আগে পায়রা নদীতে রাতভর নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৭ জেলেকে আটক করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানান, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ প্রজননক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দ-নীয় অপরাধ। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে ফিরছিলেন। এমন সংবাদ পেয়ে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ পায়রা নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৭ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় জেলেদের কাছে ৩ মন মা-ইলিশ ও ৫টি মশারি জাল ও ১৬টি কারেন্ট(৮ হাজার মিটার) জালসহ ২টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জাল গুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ও ইলিশ মাছ গুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) অমিত দত্ত বলেন, প্রথমবারের মতো মুচলেকা রেখে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৭ জেলেকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।