দীর্ঘদিন পরে উন্মুক্ত স্থানে নীলফামারি জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডাঃ শফিকুর রহমান।
দীর্ঘদিন পরে উন্মুক্ত স্থানে নীলফামারি জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডাঃ শফিকুর রহমান। শুক্রবার সকাল ৯.০০ হতে নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকা হতে আগত নেতাকর্মী ও সমর্থক দিয়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে নীলফামারি পৌরসভা মাঠ। ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে পৌরসভা মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আনতাজুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বেলাল, শহীদ মহিদুলের পিতা আনোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হাকীম, নীলফামারীর সাবেক জেলা আমীর আব্দুর রশিদ, দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা আমীর এডভোকেট আবু তাহের, নীলফামারী জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, পঞ্চগড় জেলা আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, নীলফামারী জেলা খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা সাদ্দাম হোসেন জেহাদী, ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী, শ্রমিক কল্যাণ নীলফামারী জেলা সভাপতি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জুয়েল, জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক ছাদের হোসাইন প্রমুখ।নীলফামারি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ ও ব্যাংক লুটের ইতিহাস। এই ফ্যাসিবাদ যাতে আর না আসতে পারে এজন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম। তিনি বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুধুমাত্র জামায়াতের কর্মীদের কল্যাণ ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করেনা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিভাবে একটা দল-মত, জাতিভেদ ভুলে গিয়ে একটা আদর্শ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান করা যায় সেই চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে।সমাপনী বক্তব্যে, উত্তরাঞ্চল আর কখনো অবহেলিত থাকবে না উল্লেখ করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো বিশেষ মর্যাদার দাবি রাখে। কিন্তু এলাকাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এ অঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না। উত্তরাঞ্চলের মানুষগুলো অনেক ধর্মপ্রাণ ও অল্পে তুষ্ট। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে আল্লাহ রহমত বরকত দান করুন। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেছেন, প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমরা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ চাই। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। আদালত যখন চাইবে তখন তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার জন্য তিনি ভারতের প্রতি আহবান জানান।তিনি আরও বলেন, দেশে শিক্ষিত কোনো বেকার থাকবে না। মা-বোনদের ইজ্জত সম্মান নিরাপদ থাকবে। সকলের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের নাগরিকরা দল মত নির্বিশেষে সমান অধিকার ভোগ করবে। দেশে মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।