রোজার পরেই ফরিদপুর কুমার নদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ

বিপ্লব কুমার দাস প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল , ২০২৪ ০৭:৫২ আপডেট: ৬ এপ্রিল , ২০২৪ ০৭:৫২ এএম
রোজার পরেই ফরিদপুর কুমার নদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ
ফরিদপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদ রক্ষায় নেয়া হবে উদ্যোগ। জেলা সদর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৮১ কিলো মিটার দৈঘ্যের এই নদীটি বিভিন্ন স্থান অবৈধ ধাবে দখল করে রেখেছে অবেধ দখলদারেরা। নদীর জায়গা দখল করে তৈরি করে রাথা হয়েছে পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনাও।

ফরিদপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদ রক্ষায় নেয়া হবে উদ্যোগ। জেলা সদর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৮১ কিলো মিটার দৈঘ্যের এই নদীটি বিভিন্ন স্থান অবৈধ ধাবে দখল করে রেখেছে অবেধ দখলদারেরা। নদীর জায়গা দখল করে তৈরি করে রাথা হয়েছে পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনাও।

পরিবেশের স্বার্থে এই নদী রক্ষায় এসব স্থাপনা উচ্ছেদসহ কচুরিপনাসহ নানা কারণে দুষনের উপাদানগুলোও অপসারণ করা হবে জানিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। গতকাল  সকালে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক  আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দু’পাশ থেকেই নদীটিতে যাবতীয় বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। পৌরসভার ড্রেনগুলোর নিষ্কাশন মুখ এই নদীতে মিশেছে। ফলে যাবতীয় মারাত্মক দূষিত পানীয় বর্জ্য এসে নদীতে পড়ছে। আর রাঘববোয়লোরা এখনো নদীর দুইপাড়ের জমি দখল করে অনেকে পাকা বাড়িঘর, দোকানপাট গড়ে তুলেছে। এক বছর আগে কুমার নদ রক্ষা অভিযান শুরুর পরও এখনো চলছে এই দখল-দূষণ। কিন্তু ফরিদপুর শহরকে বাঁচাতে হলে কুমার নদকে বাঁচাতেই হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবগত করে অভিযান চালানো হবে, যাতে কেউ এ নিয়ে অপপ্রচার চালাতে না পারে। প্রভাবশালী হোক বা যেই হোক কারো ওজরআপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না। রোজার পরে কুমার নদের দুই পাড়ে নদীর জায়গায় যতো স্থাপনা রয়েছে সব ভেঙ্গে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নাব্যতা রক্ষায় ফরিদপুরের পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, মধুমতি ও কুমার নদসহ সকল নদ নদী তেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূউপরিভাগস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ সূপেয় পানি প্রাপ্তির ওপরে নির্ভর করছে আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশের নিশ্চয়তা। অন্যথায় আমরা সংকটে ভুগবো। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন রশীদ অনিক, সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোরাদ হোসেন, ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়ম মো. মনির হোসেন প্রমূখ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo