পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র গোলাম রাব্বি (১৭) ৮ বছর ধরে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। তার দু’টি কিডনি নষ্ট। রাব্বি’র বাবা পারভেজ মৃধা বলছেন, কিডনি ট্রান্সপারেন্ট করার জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা দরকার। এতো টাকা দেয়ার ক্ষমতা তার নেই। একমাত্র আয়ের উৎস ছিল বেকারি ব্যবসা, তাও ছেলের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করতে হয়েছে।
প্রতি মাসে তাকে ২ ব্যাগ রক্ত এবং সপ্তাহে ২টি ডায়ালাইসিস দিতে হয় যা খুবই ব্যয়বহুল। মা রেকসোনা বেগম বলেছেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাদের ভিটে মাটি সব বিক্রি করতে হয়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে ধনবান ব্যাক্তিদের সহযোগিতা চান তারা। রাব্বি’র বড় ভাই সাব্বির জানায়, ২০১৬ সালে রাব্বি হঠাৎ জ্বর হলে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে পটুয়াখালী নোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাঃ মিজানুর রহমানর কাছে ও পরে
ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হলে সেখানকার অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান রাব্বির দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গোলাম রাব্বির মা-বাবা আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সহায়তা চেয়ে তাদের বিকাশ নম্বর ০১৭১৬৮৩৫৩৫২ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ০১৪৪১২২০০০১৬০৩৭ হিসাব নম্বরে কিছু সহযোগিতা পেলেও ডায়ালাইসিস দিতে দিতে তা শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছিলাম।
পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আলী আজিম বলেন, রাব্বি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। ৫ম শ্রেণিতে সে বৃত্তি পেয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনাকালে তার এ অবস্থা হয়।