ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা শহরে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বগুড়া শহরের সাতমাথায় আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাদ জুম'আ বগুড়া শহরের সাতমাথায় কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনটি শহরের সাতমাথা থেকে শুরু হয়ে নবাববাড়ি-থানামোড় প্রদক্ষিণ করে সাতমাথায় শেষ হয়। সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলে ’ইসরাইল নিপাত যাক’, ’আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব চাই’, ’ইসরাইলি পণ্য, বয়কট, বয়কট’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সাতমাথায় আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ বগুড়া জেলা সভাপতি হাফেজ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় শুরা ও কাউন্সিল সদস্য মুহাম্মাদ আল আমীন এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীমসহ অনেকে।
সমাবেশে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েল যে হামলা ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। নির্মম এ গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা দেখেও পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো উদাসীন ও নির্বিকার।
কেন্দ্রীয় শুরা ও কাউন্সিল সদস্য মুহাম্মাদ আল আমীন বলেন, বাংলাদেশসহ মুসলমান প্রধান দেশগুলো সবসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসলেও বড় ধরণের সংকট এলে পুরো মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে খুব একটা শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় না কেন? এমনকি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরায়েলের সাথে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোন ভূমিকা নিতে পারে না কেন? এজন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেই সাথে ইসরাইলি সকল পণ্য বর্জন করার দাবি জানান।
উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি ছহীমুদ্দিন, বেলাল হোসাইন,সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, ফরিদ উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দীক, জেলা যুবসংঘের সভাপতি রমজান আলী সহ, জেলা আন্দোলন ও যুবসংঘের নেতৃবৃন্দ।