মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর , ২০২৩ ০৭:২৫ আপডেট: ২৪ অক্টোবর , ২০২৩ ০৭:২৫ এএম
মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে আজ সোমবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে আজ সোমবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক  স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিকী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, কমিটির সহকারী সদস্যসচিব মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোরের সাগরদাঁড়ি মধুসুদনের স্মৃতি বুকে নিয়ে ধন্য। তার মতো ক্ষণজন্মা মহা প্রতিভাবান পুরুষকে জন্ম দিয়েছে বলেই সাগরদাঁড়ি আজ আলোকিত গ্রাম। এখানে ইতোমধ্যে মধুসূদনের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ হাসিনা ঘোষিত মধুপল্লী ও পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া গড়ে উঠেছে মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুসূদন একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় সাগরদাঁড়িতে একটি সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি বেশ কয়েক বছর উচ্চারিত হয়ে আসছে।

আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালির সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে জাতীয় ও আন্তজার্তিক অঙ্গনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের যে পদক্ষেপ তা আরোও জোরালো ও সম্প্রসারিত হতে পারে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সাহিত্যের অনেক খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক বাংলাদেশে জন্ম না নিলেও ইতিমধ্যে তাঁদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করে তাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে তাঁরা বেঁচে আছেন। অথচ বাংলাদেশের যশোরে জন্ম নেওয়া বিশ্ববিখ্যাত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে আজও বড় কোনো স্থাপনা বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, যা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। সেই উপলব্ধি থেকেই যশোরবাসী এ মহাকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে ‘মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে ২৭ ডিসেম্বর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে সাগরদাঁড়িতে মধুসূদনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। যা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo