যশোরে ভারী বৃষ্টিপাতের পর সড়ক জুড়ে ক্ষত, যান চলাচলে ঝুঁকি

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৪:২৩ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৪:২৩ পিএম
যশোরে ভারী বৃষ্টিপাতের পর সড়ক জুড়ে ক্ষত, যান চলাচলে ঝুঁকি
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে যশোরে গত ১৪ , ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ভারি বর্ষণ হয়। এতে শহর ও শহরতলীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বৃষ্টির পানি সরে গেলে অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝখান থেকে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিক্সায় চলাচলের সময় দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে। কয়েকটি রাস্তা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

টানা বৃষ্টিপাতে যশোর শহর ও শহরতলীর জলাবদ্ধ রাস্তা থেকে পানি সরে যাওয়ার পর পিচ ও খোয়া উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আগে থেকে বিদ্যমান গর্ত আরো বড় আকার ধারণ করেছে। ফলে যান ও জনচলাচলে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে যশোরে গত ১৪ , ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ভারি বর্ষণ হয়। এতে শহর ও শহরতলীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বৃষ্টির পানি সরে গেলে অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝখান থেকে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিক্সায় চলাচলের সময় দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে। কয়েকটি রাস্তা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

শহরের পালবাড়ি থেকে মণিহার পর্যন্ত রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক ছোট-বড় পরিবহন চলাচল করে। শিক্ষা বোর্ড অফিসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকা রোড ও উপশহর বিআরটিসি অফিসের সামনের অংশেও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।একই অবস্থা পালবাড়ি থেকে আরবপুর সড়কের। চাঁচড়া থেকে মুড়লী পর্যন্ত সড়ক বেহাল দশায়। নড়াইল রোডে গর্ত হওয়া শুরু করেছে।

যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ৩২১ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ‘রাটিং’ (সড়কের মাঝখানে উঁচু-নিচু) রয়েছে যশোর-খুলনা সড়কে ১৮ কিলোমিটার অংশে। এর মধ্যে চাঁচড়া-পালবাড়ি ও পালবাড়ি-মান্দার তলায় ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১১ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে রাটিং। এ ছাড়া আরবপুর, পালবাড়ি, বোর্ড অফিসের সামনে, রুপদিয়া, মুড়লী, বসুন্দিয়া, পদ্মবিলা ও অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় ‘রাটিং’ সবচেয়ে বেশি।এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, যানবাহনের ওভারলোড’র কারণে সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড লোডিং হলোÑ ছয় চাকার দুই এক্সেলের গাড়ির ক্ষেত্রে সাড়ে ১৫ টন। আর ১০ চাকার তিন এক্সেলের জন্য সর্বোচ্চ ওজন সীমা ২৩ টন।

তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দুই এক্সেলের যানবাহনে সর্বোচ্চ ২২ টন ও তিন এক্সেলের যানবাহনের জন্য সর্বোচ্চ সাড়ে ২৭ টন ওজন বহনের অনুমতি দিয়েছে। এতেও সড়কের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে সড়কগুলোর মাঝখানে (রাটিং) উচ-ুনিঁচু হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বৃষ্টি পর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাগুলো সংষ্কারে টেন্ডার আহবান করা হবে। সংষ্কাররে মাধ্যমে কিছু রাস্তার গর্ত বন্ধ করে দেয়া হবে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo