যশোর শহরের যানজট নিরসনে পৌরসভার উদ্যোগে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক ও অটো রিক্সা আটকের কার্যক্রম শুরু করা হলেও পরের দিন থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। কি কারণে এ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে তার সঠিক কারণ বলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যশোর শহরের যানজট নিরসনে পৌরসভার উদ্যোগে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক ও অটো রিক্সা আটকের কার্যক্রম শুরু করা হলেও পরের দিন থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। কি কারণে এ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে তার সঠিক কারণ বলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, অভিযান আবার শুরু করা হবে।পৌরসভা সূত্র জানায়, শহরে ৪ হাজার ৪৭৮টি ইজিবাইক ও ২ হাজার ৮৯৩টি অটো রিক্সা চলাচল করে। এর মধ্যে অধিকাংশের বেশি চলাচল করে লাইসেন্সবিহীন। শহরের ভেতরের চেয়ে বাইরের এলাকার মানুষ এসে শহরে ইজিবাইক ও অটো রিক্সা চালায়। একারনে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন পৌরবাসীরা।গত ১৬ অক্টোবর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিরসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শহরের যানজট নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত বেশির ভাগ সদস্য যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব রাখেন। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানকে বলেন। তার প্রেক্ষিতে পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশ সমন্বিতভাবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শহরের দড়াটানা, সিভিল কোর্ট মোড়, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে অভিযান চালানো হয়। ২৫টি ইজিবাইক ও ১৫টি অটো রিক্সা আটক করা হয় বলে জানায় ট্রাফিক অফিস কর্তৃপক্ষ। তার পরের দিন থেকে এ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে।কেন লাইসেন্স বিহীন ইজিবাইক ও অটোরিক্সা অভিযান বন্ধ প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন। তিনি বলেন অভিযান বন্ধের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। অথচ তার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, অভিযান আবারো শুরু করা হবে।