যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষায় উত্তর পত্র মূল্যায়নে ভুল করা পরীক্ষকরা অটো এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। পরীক্ষার উত্তরপত্র নিরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের গ্রেড পরিবর্তনের ফলে তারা সফটওয়্যারে মাধ্যমে অটো রিপোটেড হয়।
আর অটো রিপোটেড হওয়া পরীক্ষকরা উত্তর পত্র মূল্যায়ন করা থেকে বাদ হয়ে যায়।বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক(উ”চ মাধ্যমিক) নিয়ামত এলাহী জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মুল ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এরপর কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করে ।
আবেদনের প্রেক্ষিতে অনলাইনের তালিকা অনুযায়ী বিষয়ক ভিত্তিক পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। তারা উত্তর পত্র মূল্যায়নের পর পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। উত্তর পত্র মূল্যায়নের পর পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করে। অনলাইনে এমন একটি সফটওয়ার করা আছে পুনঃনিরীক্ষায় যদি কোন পরীক্ষার্থীর গ্রেড পরিবর্তন হয়।
তাহলে যে পরীক্ষকের কারনে মুল প্রকাশিত ফলাফলে ভুল হয়েছিল তিনি অটো রিপোটেড হয়ে যাবে। এর ফলে একবছর তিনি উত্তর পত্র মূল্যায়ন থেকে বাদ পড়বে। অনলাইনে তার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তিনি উত্তর পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে না। বোর্ড থেকে তিনি কোন মেসেজও পাবে না।
বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব রুদ্র চন্দ্র জানান ২০১৭ সাল থেকে অটো রিপোটেড কার্যক্রম চালু করা হয়। অনলাইনে বোর্ডের সফটওয়্যার এমন ভাবে করা হয়েছে যে পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক খাতা দেখায় ভুল করবেন। অনলাইনে তার শিক্ষক আইড বøক হয়ে যায়। এটাকে বলে অটো রিপোটেড। আর অটোরিপোটেড হওয়া পরীক্ষক,প্রধান পরীক্ষক এক বছর খাতা দেখা থেকে বাদ পড়ে।