বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদকে প্রত্যাখান করে জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিদের অন্তভূক্তকরার দাবী জনিয়েছেন রাঙ্গামাটির ৪টি উপজেলা জুরাছড়ি, বরকল কাইখালী ও রাজস্থলীর বঞ্চিত জনসাধারণ ।
বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদকে প্রত্যাখান করে জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিদের অন্তভূক্তকরার দাবী জনিয়েছেন রাঙ্গামাটির ৪টি উপজেলা জুরাছড়ি, বরকল কাইখালী ও রাজস্থলীর বঞ্চিত জনসাধারণ ।নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কাউখালী,বরকল,জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোন প্রতিনিধি না রাখার প্রতিবাদে ৪টি উপজেলার নাগরিক সমাজের রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুনর্গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদকে প্রত্যাখান করার কথা জানানো হয় এবং বঞ্চিত জনসাধারনের পক্ষে রাঙ্গামাটির প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবী জানানো হয় ।
মঙ্গলবার স্থানীয় একটি রেন্তোরায় সংবাদ সন্মেলনে জুড়াছড়ি উপজেলা বাসীর প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।এসময় রাজস্থলী উপজেলা বাসীর পক্ষে অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা,উথান মারমা, কাউখালী উপজেলা বাসীর পক্ষে, মোঃ জসিম উদ্দিন, ললিত চন্দ্র চাকমা,মোঃ তারা মিয়া, বরকল উপজেলা বাসীর পক্ষে এমদাদ হোসেন ও পুলিন বিহারী চাকমা ও তংচংগ্যা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রনজিত তংচংগা অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, দুঃখ জনক হলেও সত্যি এই প্রথম বারের মতো জেলার অতীব গুরুত্বপূর্ন চারটি উপজেলা কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী থেকে কোন প্রতিনিধি না রেখে উপজেলাবাসীকে বঞ্চিত করে বৈষম্যমুলক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন করা হয়েছে।যাহা রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী জনগণের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেশির ভাগ সদস্য জন বিচ্ছিন্ন এবং পতিত সরকারের দলীয়/সবিধাভোগী । এমন ও আছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য (ভাবী ও দেবর) এবং হত্যা মামলার চাজর্শীটভুক্ত পলাতক আসামী রয়েছে। যার দরুন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।সংবাদ সন্মেলনে বলা হয় নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও ফ্যাসিষ্ট সরকারের কিছু প্রেতাত্মা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে এখনো বিদ্যমান রয়েছে।ছাত্র জনতার আন্দোলন ও শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। যেখানে নানিয়ার চরের একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে ও সদস্য কার হয়েছে।দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ইতোমধ্যে এ সব বিষয়ে নানা তথ্য উপাত্ত সহ ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রচার হয়েছে বলে উল্লেখ করে সংবাদ সন্মেলনের লিখিত বক্তব্যে প্রতিটি তথ্য উপস্থাপন করা হয় ।পুর্নগঠিত অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিলপুর্বক কাউখালী, বরকল, জুড়াছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধিত্বমুলক সদস্য নিয়োগ দিয়ে অন্তর্বতীকালীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুর্নগঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারীর জন্য অর্ন্তভর্তিকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয় সংবাদ সন্মেলনে ।