যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা রোববার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়। সভা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেছেন, যশোর জেলায় ২ হাজার ৪৭৮টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান করা হবে। ঢাকা থেকে নেট ও পানি দেয়ার ঝাঝড়ি আনার পর একার্যক্রম করা হবে। এ বাগান করার ক্ষেত্রে আশ্রয়ন প্রকল্পকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। এতে করে মানুষ নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি খেতে পারবে। বসতবাড়িতে পুষ্টি লাগান প্রকল্পের আওতায় এটা করা হবে।
২ হাজার ৪৭৮টি পারিবারিক পুষ্টি বাগানের মধ্যে মনিরামপুরে ৪৫৩টি, সদরে ৩৭৭টি, শার্শায় ৩১৪টি, ঝিরগাছায় ৩০৩টি, চৌগাছায় ৩০২টি, বাঘারপাড়ায় ২৫১টি, অভয়নগরে ২২৬টি, কেশবপুরে ২৫২টি বাগান করা হবে। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে তিনি এ কথা বলেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান বলেছেন, নড়াইল রোডের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। যারা টেন্ডার পেয়েছে, তারা টেন্ডারের ধিসড়;পরীতে টাকা জমা দিলে গাছ কাটা শুরু হবে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশীদ বলেন, চিকিৎসা সেবায় হাসপাতাল বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল হয়েছে। বর্তমানে ডায়েরীয়া ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে। হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেই। হাসপাতালের মুল গেটের সামনে অবৈধ দোকান গড়ে উঠেছে। সেটা উচ্ছেদ করা প্রয়োজন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক বলেন, অবৈধ ক্লিনিকে বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহ রয়েছে। অভিযানে ৯টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ভৈরব নদের ধারে হাসপাতালের সামনে অনেক অবৈধ দখলদাররা দখল করে ব্যবসা করছে। তাদের সকালে উচ্ছেদ করার পর আবার বসছে। বিশেষ করে হাসপাতালের সামনে যানজটের কারনে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এজন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করতে হবে। তিনি বলেন বাড়ি থেকে ময়লা নেয়া বাবদ বাড়ি প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। অথচ পৌরসভা প্রতিবছর ট্যাক্স নিচ্ছে। তবে কেন ১০০ টাকা করে দেবো। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেছেন নীলগঞ্জ থেকে বকচরের র্যাব ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের অনুপযোগি। এটা সংস্কার করা প্রয়োজন।
যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, এনজিও পক্ষ থেকে বাড়ি থেকে বর্জ্য এনে কন্টেনারে ফেলে। এজন্য তারা ১০০ টাকা করে নেয়। কারন ট্রিটমেন্ট প্লানে জৈব স্যার তৈরির জন্য এটা করা হচ্ছে। কারন কন্টেনারে পচনশীল ও অপছনশীল আলাদা আলাদা ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন লাল দীঘির সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য আগামী সপ্তাহে প্রায় আড়াই কোটি টেন্ডার হবে। ভৈরবের ধারের পার্কের জন্য তিনজন ক্লিনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ৪টি ডাস্টবিন দেয়া হয়েছে। ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গাচুড়া রাস্তা সংস্কার করা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন, যৌথ অভিযানের মাধ্যমে হাসপাতালের সামনে যানজট নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সহজে কেউ করতে না পারে, এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সচেতন থেকে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির থেকে যেনমানুষ রক্ষা পায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরই আলম সিদ্দিকী, পলাশ কুমার ব্যানার্জী, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ, মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।