দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় কাজের অনিয়ম ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে সংবাদের জন্য বক্তব্য চায়তে গেলে ঠিকাদার মনজুর আলমের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক আজাদী অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি। এসময় সংবাদের ভিডিও ধারনের কাজে ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙ্গে ফেলেন ওই ঠিকাদার।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় কাজের অনিয়ম ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে সংবাদের জন্য বক্তব্য চায়তে গেলে ঠিকাদার মনজুর আলমের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক আজাদী অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি। এসময় সংবাদের ভিডিও ধারনের কাজে ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙ্গে ফেলেন ওই ঠিকাদার।
রবিবার (৩ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটে পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড, সেনারচর টু আধারমানিক সড়কে হাঙ্গর খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজের কাজের অনিয়ম এর বক্তব্য চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উক্ত ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ঠিকাদার মনজুর আলম (৬০) উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড স্কুল রোডের মৃত নজির আহমদের পুত্র।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি জানান লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সেনারচর আধারমানিক সড়কে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে হাঙ্গর খালের উপর নির্মানাধীন একটি ব্রীজের কাজে অনিয়মের খবর পেলে তিনিসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিন পরিদর্শন করেন। ব্রীজের চলমান কাজ ও ঠিকাদার কর্তৃক নির্মানাধীন ব্রীজের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে আসেন তারা। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে গেলে সেখানে ঠিকাদারের সাথে উপজেলায় দেখা হয় তাদের। তখন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ঠিকাদার মনজুর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সংবাদের ভিডিও সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত One Plus 10 Pro 5G মোবাইল ফোনটি হঠাৎ ছুড়ে মেরে ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদেরকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করে মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে হুমকি ধমকি সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিসি টিভি এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইলে ভিড়িও সংরক্ষিত আছে বলেও জানান তিনি। ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি। যাহার নাম্বার ১৩৭।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলা ও মোবাইল ভাংচুর এর বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছে, তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিকের উপর হামলাকারীকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, অভিযুক্ত ঠিকাদার ব্রীজ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করার জন্য যেসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিল সে বালু গুলো জব্দ করা হয়েছে। হুমকি ও মোবাইল ভাংচুরের বিষয়ে ওসি সাহেবকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, উক্ত বিবাদী ইতিপূর্বে বিভিন্ন জায়গায় ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম ও বিভিন্ন জনকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগ সহ গত ২০/০৬/২০২৩ইং তারিখে কক্সবাজার জেলায় মডেল মসজিদ নির্মান কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে সাংবাদিক নেতা এডঃ আয়াছুর রহমান এর উপর হামলা চালায় মনজুর কন্ট্রাক্টর ও তার শ্রমিকরা। উক্ত ঘটনার ঠিকাদার মনজুর সহ তার দলবল’কে পুলিশ গ্রেফতার করেন।