সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল নাজমুল

নাজিম বকাউল প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৩৪ আপডেট: ২৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৩৪ পিএম
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায়  মারা গেল নাজমুল
গত শনিবার (২৪ শে আগষ্ট) দিবাগত রাতে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে কোম্পানির কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে প্রাইভেটকার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনা স্থলে ভাঙ্গার এক প্রবাসী যুবক লিয়ন সহ ৬ জন নিহত ও নাজমুল গুরুতর আহত হয়।

 সৌদি আরবে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাঙ্গার আরেক প্রবাসী যুবক নাজমুল শেখ(২৫)  চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে  মারা গেল । জানা যায়, সে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামের ইউনুস শেখের পুত্র ।

গত শনিবার (২৪ শে আগষ্ট)  দিবাগত রাতে  সৌদি আরবের  দাম্মাম শহরে কোম্পানির কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে প্রাইভেটকার ও  ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনা স্থলে ভাঙ্গার এক প্রবাসী  যুবক লিয়ন সহ ৬ জন নিহত ও নাজমুল গুরুতর আহত হয়।

৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার সকালে  সবাইকে কাঁদিয়ে নাজমুল চলে যায় না ফেরার দেশে। এ নিয়ে গত তিন দিনের ব্যবধানে ভাঙ্গার দুই প্রবাসীর মৃত্যু হলো।আজ মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) নাজমুলের নিহতের খবর গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার ভদ্রাসন গ্রামে  পৌছলে এক হৃদয়ে বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।৷ সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা এখন পাগল প্রায়। গ্রামবাসী ও আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে ভীড় জমায় এবং কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় তাদের আহাজারিতে  এলাকার পরিবেশ যেন ভারী হয়ে উঠে। 

তুজারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ অলিউর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে সৌদি আরবে  কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হলে নাজমুল গুরুতর আহত হয়। আজ (মঙ্গলবার) খবর পেলাম নাজমুলও মারা গেছে ।জানা গেছে, সংঘটিত দুর্ঘটনায়  তাদের গাড়িতে থাকা ৭ শ্রমিকের মধ্যে ৭ জনই মারা যায়।  এদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলায়। দুর্ঘটনায়  একমাত্র বেঁচে যাওয়া  নাজমুল(২২) গুরুতর আহত হয়ে আই সি ইউ তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিল।

স্বজনরা জানান,  মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে সৌদি আরবের দাম্মামে  ( শনিবার ২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে। নিহত আশফাক ফকির লিওনের (২২) বাড়ী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পৌরসদরের চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর ফকির। পরিবারের সদস্যরা  জানান, লিওন ছিল পরিবারের একমাত্র ছেলে। তিন ভাই বোনের মধ্যে  সবার ছোট লিওন। লিওনের বড় বোন সৌদি আরবে থাকাবস্থায়ই বোনই লিওনকে নিয়েছে। মাস খানেক হয় বাংলাদেশে এসেছে লিওনের বোন ও ভগ্নিপতি।

সংসারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই এইচএসসিতে উঠে সৌদি আরবে পাড়ি জমান লিওন।  সন্ধ্যার পরে ওরা সাত বন্ধু মিলে একটি প্রাইভেটকারে বাসায় ফিরছিল।  রাত  সাড়ে আটটার দিকে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে  ছয়জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। ওরা সবাই মিশরের নাগরিক   অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া  নাজমুল গুরুতর আহত হন। সে  একটি হাসপাতালের আই সি ইউ তে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে চলে যায় না ফেরার দেশে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo