কুমিল্লার চান্দিনায় স্বামীর পরকীয়া জেনে ফেলায় সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক নববধু কে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। তবে নববধুকে হত্যার বিষয়টি শিকার করেছে ঘাতক স্বামী মুফতি মোহাম্মদ আলী।শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের গল্লাই মোল্লা বাড়িতে নববধুর পিত্রালয়ে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া ওই গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে। ঘাতক স্বামী মোহাম্মদ আলী একই ইউনিয়নের কংগাই সোনাকান্দা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। জানা যায়, গত ২৮ দিন আগে পারিবারিক ভাবে সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয় মোহাম্মদ আলীর। বিয়ের আগে কোন একটি প্রাইভেট মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন মুফতি মোহাম্মদ আলী। পাশাপাশি একটি মসজিদেও ইমামতি করতো সে। বিয়ের পর থেকেই অনেকটা বেকার মুফতি মোহাম্মদ আলী।
নিহত সুমাইয়ার স্বজনরা জানায়- শনিবার ভোরে স্বামী মোহাম্মদ আলী ঘর থেকে বের হয়ে সুমাইয়া স্ট্রোকে মারা গেছে জানিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। পরক্ষণে সুমাইয়া কে দাফনের উদ্দেশ্যে গোসল করা অবস্থায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে দাগ দেখতে পায় দায়িত্বে থাকা মহিলারা। এমনকি সুমাইয়ার গোপনাঙ্গে আঘাত দেখে লোকজন কে জানায় তারা।
ঠিক তখনি রহস্যের দানা বাঁধে! সুমাইয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে চাপ প্রয়োগ করলে মৃত্যুর রহস্যের জট খুঁলতে থাকে। গভীর রাতে নির্মমভাবে সুমাইয়াকে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।নিহতের চাচা খালেক মেম্বার জানায়- ওই ঘটনার পর মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে নানা বাহানা করলেও এক পর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি শিকার করে স্বামী মোহাম্মদ আলী। পরকীয়া নারী মোহাম্মদ আলীর মোবাইলে কল করলে রিসিভ করে সুমাইয়া।
এসময় ওই নারীর সাথে কথা হলে স্বামীর পরকীয়ার কথা সুমাইয়া জেনে ফেলায় মধ্যে রাতে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে আটকিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশ খবর দিলে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে ঘাতক মোহাম্মদ আলী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।