খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একতরফা প্রতিবেদন দাখিল করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের চার ভাই-বোনকে পিতার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযোগ এনে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়ারিশ বঞ্চিত চার ভাই-বোন।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একতরফা প্রতিবেদন দাখিল করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের চার ভাই-বোনকে পিতার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযোগ এনে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়ারিশ বঞ্চিত চার ভাই-বোন।
সংবাদ সম্মেলনে কুমারীয়া ত্রিপুরা ও নও মুসলিম মোস্তফা (স্বাধীন ত্রিপুরা) লিখিত বক্তব্যে বলেন, চার ভাই-বোনকে রেখে তাদের পিতা ভারত চন্দ্র ত্রিপুরা ১৯৮৪ সালে মারা যান। এর বাইরে ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার আর কোনো ওয়ারিশ ছিল না। পারিবারিক প্রয়োজনে গত বছরের মে মাসে ওয়ারিশ সনদের জন্য আবেদন করলে তারা জানতে পারেন, দোঅংগ্য মগ নামে মারমা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি নিজেকে প্রয়াত ভারত চন্দ্র ত্রিপুরার পুত্র দাবী করে আগেই ওয়ারিশ সনদ করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা চার ভাই-বোন মিলে ওই ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মৌজা প্রধান ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র উপস্থাপন করার পরও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন সরেজমিন তদন্ত না করেই একতরফাভাবে তাদের বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। অন্য সম্প্রদায়ের লোক হওয়া সত্বেও দোঅংগ্য মগকে তাদের পিতার ওয়ারিশ হিসেবে উল্ল্যেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ইউএনও’র ওই প্রতিবেদন মিথ্যা আখ্যায়িক করে পুনরায় সরেজমিন তদন্ত ও শুনানীর জন্য দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। তারা আরো বলেন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে একতরফা প্রতিবেদনে তারা প্রকৃত ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ভূয়া ওয়ারিশ কর্তৃক হারানোর আশংকাও করছেন।
এ সময় কুমারীয়া ত্রিপুরা, নও মুসলিম মোস্তফা (স্বাধীন ত্রিপুরা) ছাড়াও তাদের দুই বোন ফেরম লক্ষী ত্রিপুরা এবং ছেত লক্ষী ত্রিপুরাণী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন বলেন, ‘আমি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এরপরও তারা যদি সংক্ষুব্ধ হন কিংবা তাদের মনে হয় আমার প্রতিবেদন যথাযথ নয়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারেন।’