নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশুরা। হঠাৎ শিশুরা অসুস্থ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা। হঠাৎ ডায়রিয়া বাড়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশুরা। হঠাৎ শিশুরা অসুস্থ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা। হঠাৎ ডায়রিয়া বাড়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ১৫-১৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। ১৯ জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত এক শিশুর বাবা আনারুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের(আয়মান আবিদ) বয়স ৭ মাস। শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে হঠাৎ বমি, জ্বর ও পাতলা পায়খানা করতে শুরু করে। অবস্হা বেগতিক দেখে সকালেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি। ভর্তির সময় বেড না ফাঁকা না থাকায় মেঝেতেই থাকতে হয়েছে। আজ একটু সুস্থবোধ হওয়ায় ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় গিয়েই ছেলের চিকিৎসা করাবেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলা সদরের এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার মান আরও বাড়ানো বলে জানান তিনি।
২১ মাস বয়সী শিশু জাহিদ হাসানকে নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে বসে ছিলেন বাবা এমরান হোসেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই ছেলের জ্বর, বমি ও পায়খানা শুরু হয়। সারাদিন বাসায় চিকিৎসা দিলেও ভালো হওয়ার লক্ষন না থাকায় আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি। বেড না থাকায় মেঝেতেই ছেলেকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ প্রনব কুমার সাহা বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে প্রতিদিন শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ঈদের পর থেকেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চিকিৎসক ও নার্স সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ গরমে সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।