প্রভাবশালী নেতার পরিচয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক তালুদারের অভিনব কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র (হোমিও ইউনিটের) সিনিয়ার মেডিকেল অফিসার হয়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার পরিচয়ে হোপেস হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষক নিয়োগ সহ ব্যাচেলর ডিগ্রি কোর্স করানোর নামে হোমিও শিক্ষক সহ হোমিও ডিপ্লোমাদের কাছে হোপেস কলেজের নামে রিসিভ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। আওয়ামী রাজনৈতিক নেতার সাথে সক্ষতা করে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কল্যানপুরে স্বল্প মুল্যে প্লট ক্রয়ের জন্য পেশাজীবীদের নামে প্লট কিনে তা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সাবেক জাসদ নেতা প্রায়াত সাংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল কে হোপেস হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের নামে মাত্র সভাপতি করা হয়।অভিযোগ মতে কলেজ পরিচালনার সর্বসর্বা হলেও কৌসুলি আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার বরাবরে ছিলেন গাছের কালো আবডাল।কাগজে কলমে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ থাকলেও তারা হলেন ডুমুর ফুল। ঐ সময় ডিপ্লোমাদের গ্রাজুয়েশন কোর্স এর সার্টিফিকেট দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোপেস কলেজের কিছু শিক্ষক বলেন আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারের ক্ষমতা বলে কলেজ এর অনিয়ম করে যাচ্ছেন তার স্ত্রী অধ্যক্ষ রোকেয়া খাতুন। প্রাতাষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী হোপেস কলেজটি ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্থাপন করার কথা থাকলেও সেখানে জমির পরিমান কম হওয়ায় কলেজ অনুমোদন পায়নি তবে সাবেক কিছু আওয়ামী এমপি মন্ত্রীর সাথে সক্ষতা করে মৌচাক মালিবাগের একটা বিল্ডিং এর প্লট ভাড়া নিয়ে কলেজ চালিয়ে আসছেন তবে উল্লেখ্য তিনি অঙ্গীকার করেন যে কলেজ এর নামে জমি তারাতারি কিনে নিজস্ব কলেজ ভবন করবে কিন্তু এখনও দুর্নীতির কারনে তিনি করতে পারেন নি বলে ভাড়া বিল্ডিং এ কলেজ করছেন ।। তিনি পেশাজীবি লীগ নামে একটা সংগঠনের সদস্য পদ নিয়ে এখন হোমিও পেশাজীবি সমিতি(হোপেস) বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা দাবী করে চেয়ারম্যান পদ দখল করে আছেন বলে দাবী লোকমান, হেলাল, সহ সাবেক হোপেস নেতা গন।এরই জের ধরে হোপেস এর নামে একটি কলেজ অনুমোদন নিয়ে সেখানে একেকটি পদের জন্য ৪-৫ জন করে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা আতসাৎ করেন।। ডাক্তার লোকমান কে কলেজ এ নিয়োগ দিয়ে তার মাধ্যমে বিভিন্ন ডিপ্লোমা চিকিৎসক এর কাছে বিএইচএমএস সার্টিফিকেট দেয়ার নামেও নিয়েছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।।লোকমান এর অর্থ সহোযোগিতায় চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল করা হলেও সেখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগেও দুর্নীতি করেন ঢাবিসিহো মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার। সোনালী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ও অন্যান্য ব্যাংক ছাড়াও হাতে হাতে বিভিন্ন কাগজ পত্র সংশোধন করার নামে লোকমানের কাছ থেকেও নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তথাকথিত অনুসন্ধানে তার নিকটতম পালিত মে উচ্চ কোন সরকারি কর্মচারী হওয়ায় ক্ষমতার ব্যবহারে ডা.লোকমান কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও তার লেনদেন অস্বীকার করেন। সামজিক যোগাযোগে টাকা লেনদেনের রিসিভ উঠে আসলে মুঠোফোনে ডা.আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন হোপেস কলেজের উন্নয়নের জন্য লোকমানের কাছে টাকা নিয়েছি। আবার কোন সময় বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসে তার কাছ থেকে টাকা ফিরত নিতে বলেন আবার এদিকে ফোনের কল রেকর্ডে অধ্যক্ষ রোকেয়া খাতুন লোকমানকে হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে এবং তা সামজিক যোগাযোগ এ বিদ্যমান আছে।