যশোর শিক্ষা বোর্ডে সার্টিফিকেট ও মার্কশীট নেয়ার আবেদ করার এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে প্রদান করা হচ্ছে মিরাজুল কবীর টিটো সদর উপজেলা প্রতিনিধি যশোর যশোর শিক্ষা বোর্ডে দ্বি-নকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। সোনালী সেবা করে ফরম পুরণ জমা দেয়ার এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে সার্টিফিকেট ও মার্কশীট দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে এ কাজে আসা শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে যে রুমটি করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কর্ণার, সেটি এখন শিক্ষক,শিক্ষার্থীর বিশ্রামাগার করা হয়েছে। বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।সোমবার বোর্ডে সার্টিফিকেট নিতে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আসে দিদারুল ইসলাম নামে এক ছাত্র । সে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ফরম পুরণ করে বোর্ডের ই সেবা কেন্দ্রে জমা দেয়। সেখান থেকে তাকে সাড়ে ১০টার দিকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। একই ভাবে ফরম জমা দেয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে আসা ছাত্র সৈয়দ হুসাইন। তাকে ও এক ঘন্টার মধ্যে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এভাবে দুপুর ১টার আগে অনেক শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট পেয়েছে। বোর্ডের ই সেবা কেন্দ্র ও গোপনীয় শাখার দায়িত্বে থাকা নিম্নমান সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, সকালে যেসব শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট বা মার্কশীট নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগ পত্র জমা দেয়। তাদের দুপুরের আগেই সেগুলো দেয়া হয়। আগে এমনটি হতো না। আগে সার্টিফিকেট মার্কশীট নেয়ার জন্য কাগজপত্র সকালে জমা দিলেও দুপুরের নিতে হতো। এতে করে দুরদুরান্ত থেকে আসা শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পরতে হতো। সেটা আর হয় না।
ই সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য জাকির হোসেন জানান, বোর্ডে সার্টিফিকেট,মার্কশীট নিতে আসা শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের যতটুকু সম্ভব সেবা দেয়া যায় সেই চেষ্টা করা হয়। যাতে কেউ সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে না পড়ে।এদিকে বোর্ডে সেবা নিতে আসা শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে যে রুমটি বঙ্গবন্ধু কর্ণার করা হয়েছিল। সেই রুমটি এখন বোর্ডের সেবা নিতে আসা শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের বিশ্রামাগার করা হয়েছে বলে জানান বোর্ডের সচিব প্রফেসর আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, এখন বোর্ডে জনবল কম। অল্প জনবলেই সঠিক সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নাম সংশোধের জন্য আবেদন করলে বিনা তদবীরেই করে দেয়া হচ্ছে।