শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায় রেস্টুরেন্টে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা এমনকি সেগুলোতে দিনরাত চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এমনি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।আলো-আঁধারির মাঝে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করে ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা এসব রেস্টুরেন্টের প্রধান আয় আগতদের কাছে থেকে পাওয়া ‘ওয়েটিং বিল’।
রেস্টুরেন্টগুলো সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বিঘে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।রেস্টুরেন্টগুলোর ভিতরে গোপন কক্ষ রাখা হয়েছে। যেগুলো রেস্টুরেন্টে আসা প্রেমিক যুগলদের অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ঘন্টা বিনিময়ে ভাড়া দেয়া হয়। কক্ষের ভিতরে রয়েছে লাল ও সবুজ বাতির ব্যবস্থা। যা বিশেষ সময়ে জ্বালিয়ে ভিতরে থাকা প্রেমিক যুগলদের সাবধান করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন মনে করছেন, অসামাজিক কার্যকলাপের সহায়ক ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ছোট বড় রেস্টুরেন্টগুলোকে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে বন্ধ না করা হলে যুবক যুবতীসহ উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ক্রমশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে এবং সামাজিকতার চরম অবক্ষয় ঘটবে
তাই এইসব রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধের দাবী জানাই।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক হওয়ায় এসবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করেন না কেউ। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা এসব মিনি চাইনিজ ও ফাস্টফুডের দোকান নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অলি-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে কয়েক ডজন রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান। বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এসব রেস্টুরেন্টের ভিতরে কী আছে তার খবর কেউ রাখে না। বেশিরভাগ দোকানের ভিতরে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করা। সেগুলোতে আবার পৃথক কপাট (দরজা) আছে। ভিতর থেকে সে কপাট আটকানো যায়। বাহির থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এসবের ভিতরে কি আছে।
ওই সব কেবিনে কারা বসে জানতে চাইলে ডামুড্যা তাজ গার্ডেন রেস্টুরেন্টের ওয়েটার জানায়, সাধারণত স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা কেবিনগুলোতে বসে গল্প করে। শুধু তাজ গার্ডেনই নয় এরকম উপজেলায় আরও কয়েকটি রেস্টুরেন্ট আছে তার মধ্যে অন্যতম ডামুড্যা ছৈয়াল মার্কেটে অবস্থিত লাভ মম রেস্টুরেন্ট ও স্ট্রিট ফুট রেস্টুরেন্ট। মূলত স্কুলসহ এই এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে এই রেস্টুরেন্টগুলো গড়ে উঠেছে।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসার আড়ালে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের অসামাজিক কার্যকলাপ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
তাজ গার্ডেন রেস্টুরেন্টের পরিচালক মাসুদ তালুকদার বলেন, তার এখানে কোন অসামাজিক কর্মকান্ড হয় না। তিনি স্বীকার করে বলেন, রেস্টুরেন্টের ভিতরে আলাদাভাবে পর্দাঢাকা খুপড়ি ঘর রাখা হয়েছে কিছু কাস্টমারের জন্য।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমারত হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।