চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উল্লেখিত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের পর থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ঈদ সামগ্রী উপহার এবং প্রণোদনা প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ জুন (বুধবার ) বেলা ১২:৩০ মিনিটের সময় মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী এবং পেকুয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আত্মসমর্পণ করা আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল, বাঁশখালী চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২৪ উপলক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবনধারার উপর বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় আসতে হলে বেশ পড়াশোনা করতে হয়।তিনি আরো বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা নিমূর্ল করতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মূলধারার সাংবাদিকদের সংবাদ করতে গিয়ে যাতে অসুবিধায় পরতে না হয় সেজন্য বর্তমানে সাংবাদিক হওয়ার আবেদন করলে তাকে ন্যূনতম স্নাতক পাশ হতে হবে। তাছাড়া যারা স্নাতক পাশ করেনি কিন্তু ৫-১০ বছর ধরে কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিলযোগ্য করা হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে তাদের কাজের শুরুর যোগদান পত্র উপস্থাপিত করতে হবে।
উক্ত সভায় আসন্ন ঈদুলআজহা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়া, অলংকার, একে খান, কাটগড়, অক্সিজেন মোড়, বহদ্দার হাট, কদমতলী টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থান হতে ছেড়ে যাওয়া ও আগত মোটরযানের সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করা এবং মোটরযানের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া লক্কর-ঝক্কর গাড়ি, ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধ করে বিকল্প উপায়ে হয়রানিমুক্তভাবে যাত্রীপরিবহনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। আসন্ন ঈদের আগে ও পরে মহাসড়কে পণ্যবাহী ভারি গাড়ি চলাচল বন্ধের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন প্রতিরোধের বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। যেসব গার্মেন্টস কারখানা তাদের শ্রমিকদের ঈদযাত্রায় রিজার্ভ বাস ভাড়া করবেন সেগুলোর তালিকা বিআরটিএ’র সহযোগিতায় যাচাইবাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগকে দেওয়ার বিষয়েও সভায় ফলপ্রসূ আলাপ হয়।
পরবর্তীতে গত কল্যাণ সভায় পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সমস্যাসমূহের সমাধানকল্পে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অবগত করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ফোর্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, পিপিএম। সভার বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের সমস্যার কথা শুনেন ও তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করেন।
৭ ই জুন রবিবার চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস হতে এক আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আনন্দ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, "এই বাজেট কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের বাজেট। বিগতের বছরের বাজেটগুলোর মাধ্যমে দেশ অপ্রতিরোধ্য ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবায়ন হয়েছে অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সর্বদা দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে আছি।"
সভাপতির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে নগরীর সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।তিনি বলেন,প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি রয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ, সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা, ওয়াচ টাওয়ার, মেডিকেল ক্যাম্প, মানি এস্কর্ট ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা।
১৯৬২-তে রোপিত বীজ থেকে আজ বটে বৃক্ষে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব। সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় আজ বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যা চট্টগ্রামবাসী সহ সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। সকলের সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রাণপ্রিয় এ প্রতিষ্ঠান আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে-আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আজকে যে শাসন আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরা সময় গণতন্ত্র বিরোধী, এরা সব সময় একনায়কত্বে বিশ্বাস করে এবং তারা ওই বাকশালই বিশ্বাস করে। তারা বাকশাল তৈরি করতে চায়, নতুন ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রে একটা ফাসাদ দিতে চায়। সেভাবে তারা ওই শাসনকে আবার নিয়ে আসতে চায়। এজন্য ১৫ বছর ধরে সবসময় বেআইনিভাবে, বিনা ভোটে জনগণের সমর্থন ছাড়াই রাষ্ট্র যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করে আছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শর্তগুলো ছিল, সবগুলো খানখান করে দিয়ে কিছু দল ব্যক্তিকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। এদেশে তারা লুটের আর চুরির রাজত্ব তৈরি করেছে।