সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন করবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।দ্বিতীয় দিনের মতো বাকৃবির শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে। ঈদের আগে গত ১০ জুন বাকৃবির প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহান সংবিধানে চাকুরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম তুষার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা প্রথা এভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোন কোটার প্রয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তথা বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সিভিল সার্ভিসে মেধাভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। আগামী ৪ জুলাইয়ের রায় সারা বাংলার ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে গেলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মোঃ জুহায়ের আমিন হৃদয় বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা সকলের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। বর্তমানে আবার পুরনো সেই কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তাতে এই মৌলিক অধিকার লাভের পথ ব্যাহত হবে। সচেতন ছাত্র সমাজ পূর্বের মত বর্তমানেও এমন বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ছাত্ররা রাজপথ থেকে ফিরবে না।